Please wait...
This is logo

নোটিশ
কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে

কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে

চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামে ১৯৯০ সালে জালালী ক্লাবের সভাপতি মো: আবু শাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক শিপার মো: আনকার (এস.এম আনকার) এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ক্লাবের সাধারণ সভায় উপস্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে সবাই বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেন। তারই প্রেক্ষিতে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণকে নিয়ে একটি সভা আহবান করা হয়। এবং সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যালয়ে নাম ‘কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়’- নামে নামকরণ করা হয় এবং জনাব আব্দুল হাইকে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এবং জনাব মুকিদুর রহমান চৌধুরী (লন্ডন প্রবাসী)-কে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনয়ন করা হয়।  এই বছরই জনাব মুকিদুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যালয়ের প্রারম্ভেই ক্লাবের সদস্যরাই স্বেচ্ছাশ্রমে         (অবৈতনিক) শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাদের মধ্যে অঞ্জন পাল, বীরেন্দ্র দেবনাথ, পরিতোষ দেবনাথ, এলাকার শিক্ষিত সমাজসেবক বাবু পলাশ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আরও অনেকেই স্বেচ্ছাশ্রমে শিক্ষকতা করে বিদ্যালয়টিকে পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেন। তাদের মধ্যে অন্যতম নজরুল ইসলাম (বর্তমান শিক্ষক), কাদির খান, মতিউর রহমান রাজু, আসাদ বক্স, রোজিনা আক্তার, সৈয়দা শাকিলা, সৈয়দা ফাহমিদা, বিধূভ‚ষণ সিংহ, মলয় তালুকদার, প্রবীণ বাবু প্রীতিরঞ্জন চক্রকর্তী, বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব নোমান আহমদ সিদ্দিকীসহ অসংখ্য নাম নাজানা স্বেচ্ছাশ্রমী শিক্ষক। বিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয়রূপে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইয়থ ক্লাব, রাজাপুর এর সভাপতি জনাব মামরুল আলম বদরুল ইয়থ ক্লাব বিলুপ্ত করে জালালী ইয়থ ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকার ও ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে বাঁশ, ধান, গাছ , নগদ টাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনী সাহায্য সংগ্রহ করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতা করেন। স্বেচ্ছা শ্রমী জালালী ইয়থ ক্লাবের সদস্যবৃন্দের মধ্যে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেন মো: জুনেদ আহমদ, ফয়জুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, জুনাব আলী, হারুনুর রশিদ, জগৎ পাল, জসিম উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, শাহ্ সাহিদ আহমদ, লিটন চক্রবর্তী, কুতুব উদ্দিন গিয়াস, আব্দুল হক, বিজু দেবনাথ, মাসুক মিয়া, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এলাকার মুরুব্বিয়ানদের মধ্যে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেন মো: আবু সাঈদ, মছদ্দর আলী, ডা: জয়ন্ত চন্দ্র দেব, দেওয়ান আহমেদ, ডা: গোপেশ চন্দ্র, ডা: সুনীল চক্রবর্তী, মো: আরফান মিয়া, আব্দুর রউফ, আব্দুল মোছাব্বির,  মোছাব্বির আল মাসুদ, শ্রী ধনী কুর্মী, রমজান মিয়া, জরিফ মিয়া, নাজির মিয়া, আব্দুস সালাম  (মেম্বার), মঞ্জুর আলম রুনু (মেম্বার) প্রমুখসহ অনেকেই সহযোগীতা করেন। পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে জালালী ইয়থ ক্লাবকে যারা অর্থ, শ্রম, মেধা দিয়ে সাহায্য ও সহযোগীতা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার, উপজেলা প্রশাসন, শ্রীমঙ্গল,  উপজেলা শিক্ষা অফিস , শ্রীমঙ্গল,  সাব রেজিষ্টার অফিস , শ্রীমঙ্গল, ফিনলে চা কোম্পানী লি. । অবশেষে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিরাজনগর গ্রামে বিদ্যালয়টি নিজস্ব ক্যম্পাসে স্থায়ী ভবন তৈরি করা হয়।    কালক্রমে বিদ্যালয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এমপিওভ‚ক্ত তালিকায় অন্তভর্‚ক্তি হয়। বিদ্যালয়টি এমপিওভ‚ক্ত করণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ জনাব উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ, এমপি, ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আখলাকুর রহমান, সচিব,  শিক্ষা বোর্ড , সিলেট ।